আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
গরমের সময়ে আমাদের অতিরিক্ত ঘামের কারনে শরীর প্রচুর পরিমান পানির চাহিদা হয়। হতে পারে আনারস অনেক বড় একটি পানির উৎস। কম বেশি প্রায় সবাই আমরা এই ফল খেতে পছন্দ করি। আনারস একটি রসালো এবং অনেক সুস্বাদু ফল। যা আমদের শরীরের পর্যাপ্ত পরিমান চাহিদা পূরন করে। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুন।
আবিস্কারঃ আনারস প্রথম আবিস্কার করা হয় ১৪৯৩ সালে দক্ষিণ আমেরিকায়
আসুনে জেনে নেওয়া যাক আনারস এর উপকারিতা ও অপকারিতা।
উপকারিতা সমূহ
কাশি ও সর্দিঃ আনারসে থাকা প্রচুর পরিমান ভিটামিন “সি” যা আমাদের দেহের ভাইরাস জনিত সর্দি ও কাশি কমাতে অনেক পরিমান সহায়তা করে থাকে। তাছাড়াও সর্দির কারনে নাক দিয়ে পানি পড়া কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। গলা ব্যথা সম্যসা দূর করে এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প আনারসের জুরি মেলাভার।
জ্বরঃ কম বেশি আমরা সবাই অবগত যে আনারস খেলে আমদের জ্বরের ওষধ হিসাবে কাজ করে। তাই জ্বর হলে আমরা পরিমান মত আনারস খেয়ে আমাদের জ্বর ভাল করতে পারি। গলা ব্যথার মত সম্যসা অনায়াসে দূর হয়। ব্রংকাইটিসের মত মারাত্নক বাধির বিকল্প ওষুধ হিসাবে আনারস খাইতে পারেন।
আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
হজম শক্তিঃ আমাদের মধ্যে প্রায় সবার হজমের সম্যসা রয়েছে। আনারসে থাকা “ব্রোমেলিন” যা আমাদের পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে আমাদের হজম সম্যসা দূর করে।
শরীরের ওজনঃ আমারা দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে কত কি না করে থাকি। অথচ আমরা প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের ওজন কমাতে পারি। প্রতিদিন যদি আমরা আনারস খেতে পারি তাহলে আনারসে থাকা “ফাইবার বা আঁশ” আমাদের ওজন কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে।
রক্তঃ দেহের শিরা-উপশিরা, ধমনি সচল থাকার কারনে দেহের রক্ত জমাট বাধঁতে দেয়না। পরিমান মত আনারস খেলে রক্ত সঠিক ভাবে প্রবাহিত হওয়ার কারনে হার্ট অ্যাটাকের মত বড় সম্যসা দূর হতে পারে।
ক্যান্সারঃ আমাদের দেশে মূলত যে আনারস গুলি উৎপাদন হয় সেই আনারসে ভিটামিন “সি” এবং অতি উচ্চমাত্রায় পানিতে দ্রবনীয় আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট। যা দেহের ফ্রি-রেডিকেল থেকে রক্ষা করে ফলে ক্যান্সারের মত মারাত্নক রোগকে প্রতিহিত করে।
ত্বকঃ ত্বকের যত্ন কে নাহ করতে চাই? আনারসে আছে পর্যাপ্ত প্রোটিন যা আমাদের ত্বকের মৃত কোষ কে দূর করে নতুন কোষের সৃস্টি করে। যার ফলে আমাদের ত্বক সুন্দর থাকে।
আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
দাঁতঃ আনারসে পর্যাপ্ত পরিমানে “ক্যালসিয়াম” থাকার কারনে দাঁতের গঠন ও দাঁতকে শক্ত রাখে। এছাড়াও মুখের মধ্যে থাকা অনেক পরিমান জীবাণু দাঁতকে সংক্রমণ করে ফলে দাঁত ক্ষয় হয়। তাছাড়াও জীবাণুর কারনে দাঁতে ও মাড়িতে নানা বিধি সম্যসা তৈরি হয়। যদি আমরা প্রতিনিয়ত আনারস খেতে পারি তাহলে আশা করা যায় এই সম্যসা গুলি থেকে মুক্ত থাকতে পারব।